আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া: জন্মঃ ৩রা জানুয়ারী ১৯৪৩, শিবপুর, নরসিংদী
শিক্ষাঃ শিবপুর স্কুল হতে ১৯৫৮ সালে মেট্রিক্যুলেশন, নরসিংদী কলেজ হতে ১৯৬১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৬৪ সালে ইতিহাসে øাতক (সম্মান), ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এম.এ; এল.এল.বি।
রাজনৈতিক জীবনঃ একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি নরসিংদী কলেজ ছাত্র সংসদ হতে সমাজকল্যাণ সম্পাদক এবং ছাত্র ইউনিয়নের আঞ্চলিক প্রধান সংগঠক ছিলেন। তিনি ১৯৬২ সালে আয়ুব বিরোধী আন্দোলন নীতির কারনে গ্রেফতার হন। তিনি ১৯৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
ছাত্র জীবন সমাপ্তির পর, মান্নান ভূঁইয়া জাতীয় আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এ যোগ দিয়েছিলেন এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে কৃষক মজুর সংগঠন আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ নীতি গ্রহণ করেন। রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি মাওবাদী অনুসারী ছিলেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয়নীতি গ্রহণ করেন।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধেও সময় ভূঁইয়া শিবপুর দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতা যুদ্ধেও পর তিনি কৃষক শ্রমিক দলের প্রধান সংগঠক হিসাবে থাকেন এবং সেই সময়ের আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয়নীতি গ্রহণ করেন। তিনি ইউনাইটেড পিপল্স পার্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং পরবর্তীতে দলের সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি ১৯৭৯ সালে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ১৯৮০ সালে মান্নান ভূঁইয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)তে যোগ দেন। এরশাদেও মাসনামলে মান্নান ভূঁইয়া স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে এরশাদেও পতন ত্বরান্বিত করেছিলেন।
ভূঁইয়া ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-৩ আসন থেকে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালের ২০শে মার্চ পাঠ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রি হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর হইতে শ্রম ও জনশক্তি মন্ত্রি ছিলেন।
ভূঁইয়া পুনরায় ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের নির্বাচনে নরসিংদী-২ আসন থেকে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি উদারপন্থি গণতন্ত্রবাদী।
ভূঁইয়া ১৯৭২ সালের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুই পুত্র আছে এবং তার স্ত্রী পেশাগতভাবে একজন শিক্ষিকা। মান্নান ভূঁইয়ার পুত্র রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি এবং শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের কন্যা বিয়ে করেছেন।
-:সমাপ্ত:-
এ লেখাটিতে তথ্য সংযোজন বা বিয়োজনের জন্য to [at] bangladeshinside.com ঠিকানায় লিখুন।